ড্রাগন কি ফল নাকি রূপকথার ড্রাগন !!
0

ড্রাগন ফল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। পাতাবিহীন এই ফলটি দেখতে ডিম্বাকার ও লাল রঙের। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এই ফলের বাইরের খোসা দেখতে রূপকথার ড্রাগনের পিঠের মতো। এই রূপকথার ড্রাগনের মতো কিছুটা মিল থাকার জন্য একে ড্রাগন ফল বলে।
গণচীন -এর লোকেরা এটিকে ফায়ার ড্রাগন ফ্রুট এবং ড্রাগন পার্ল ফ্রুট বলে, থাইল্যান্ডে ড্রাগন ক্রিস্টাল, ভিয়েতনামে সুইট ড্রাগন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফ্রুট নামে পরিচিত।

ড্রাগন ফলের উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকা । বাংলাদেশে এ ফল ২০০৭ সালে প্রথম প্রর্বতন করেন। এ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এম. এ. রহিম এ ফলের জাত নিয়ে আসেন থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে। ড্রাগন ফল এ দেশের জলবায়ু ও মাটিতে দারুণভাবে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। এখন এ সেন্টার থেকে এ ফলটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বংশ বিস্তার করা হচ্ছে। এ সেন্টার থেকে ড্রাগন ফলের ৪টি জাত (বাউ ড্রাগন ফল-১; বাউ ড্রাগন ফল-২; বাউ ড্রাগন ফল-৩ ও বাউ ড্রাগন ফল-৪)

ড্রাগন ফলের অনেক উপকারিতা রয়েছে ঃ

ড্রাগন ফলে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি খেলে হাড় ক্ষয় রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। এটি রক্তচাপ কমাতে ও ওজন কমাতে খুবই উপকারি। ড্রাগন ফলের আঁশ কোষ্ঠকাঠিণ্য প্রতিকারক হিসেবেও কাজ করে থাকে। শুধু তাই নয়, ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ক্যান্সার বা ত্বকের ক্ষতি এড়াতে ড্রাগন ফল খেতেই পারেন। এমনকি পটাশিয়ামের ভালো উৎস হলো ড্রাগন ফল। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান থাকে। বিশেষ করে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস হলো ড্রাগন ফল। স্নায়ুতন্ত্র ঠিক রাখতেও ড্রাগন ফলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডায়বেটিস রোগীদের পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হার্ট ও কিডনি ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই ডায়বেটিস রোগীরা এ ফলটি খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, ভিটামিন সি এর ভালো উৎস হলো ড্রাগন ফল। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়া ড্রাগন ফল আয়রনের ভালো উৎস। এটি দাঁত মজবুত করে ও ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এ ফলটি মানসিক অবসাদ, এজমা ও অ্যালার্জিজনিত রোগ দূর করে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published.